ববি লাইভঃ ভিসিসহ গুরুত্বপূর্ণ পাঁচ প্রশাসনিক পদে নিয়োগের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে দুপুর সাড়ে ১ টায় শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন করেন।
বর্তমানে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ভিসি, প্রো-ভিসি, ট্রেজারার, রেজিস্টারসহ প্রধান পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ শূন্য রয়েছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রমসহ একাডেমিক, প্রশাসনিক কাজে স্থবিরতার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সাময়িক সময়ের জন্য স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছয়টি অনুষদ থাকলেও বর্তমানে ডিন নেই একজনও। এতে প্রশাসনিক কার্যক্রম যেমন ব্যাহত হচ্ছে, তেমনি শিক্ষার্থীদের সেমিস্টার পরীক্ষা নেওয়াও অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির বিভিন্ন বিভাগে ছয় মাস থেকে দেড় বছর পর্যন্ত সেশনজট চলছে।
অতি দ্রুত সময়ের মধ্য ভিসিসহ অন্যন্য প্রশাসনিক পদে লোকবল নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধন আয়োজন করেছে।
মানববন্ধনে মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী লোকমান হোসেন বলেন, "বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে গুরুত্বপূর্ণ ৫ টি পদে লোকবল না থাকা সত্যিই বেদনাদায়ক। উচ্চশিক্ষার নবীন এই প্রতিষ্ঠানে গুরুত্বপূর্ণ পদ শূন্য থাকায় আমরা শিক্ষার্থীরা যেমন হতাশ তেমনি জাতির কাছেও এটা একটি উদ্বেগের বিষয়।
সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী আলীম সালেহী বলেন, এর আগে ২০১৫ সালেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভিসি নিয়োগে সময়ক্ষেপণ করা হয়েছিল। ফলশ্রুতিতে বিশ্ববিদ্যালয়টি তার স্বাভাবিক গতি হারিয়েছিল। বিভিন্ন বিভাগে সেশনজট সহ বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়েছিল। এবারো সেই একই আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ শিফাত, ইকবাল মাহমুদ ও হাফিজুর রাহমানসহ অন্যরা।
বক্তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সৎ ও যোগ্য ভিসি নিয়োগের জন্য রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান।
এর আগে গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের একটি অনুষ্ঠানে করা মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ১ মাসেরও বেশি সময় ধরে শিক্ষার্থী আন্দোলনের মুখে মেয়াদ শেষের আগেই দেড় মাসের ছুটিতে যেতে বাধ্য হন তৎকালীণ ভিসি প্রফেসর ড. এস এম ইমামুল হক। ছুটি কাটিয়ে গত ২৭ মে শেষ কার্যদিবস অতিবাহিত করেন তিনি।
এরপর ট্রেজারার প্রফেসর ড. মাহবুব হাসান ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকলেও গত ৭ অক্টোবর তার ৪ বছরের মেয়াদ শেষ হয়। এর আগে থেকেই রেজিস্ট্রার এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের পদ শূন্য রয়েছে। ২০১২ সালে শিক্ষা কার্যক্রম শুরুর পর আজ পর্যন্ত প্রো-ভিসি নিয়োগ হয়নি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে।
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: