পটুয়াখালী লাইভ : পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে ডেটিংয়ে গিয়েছিলেন নিপা আক্তার নামে এক ছাত্রী। ডেটিংয়ের ফাঁকে তাকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পবিপ্রবির একটি হলের সামনে। সেখানে তার কাছ থেকে মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে হুমকি-ধমকি দিয়ে তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়। ততক্ষণে বাড়ি ফিরতে অনেক দেরি হয়ে যায় ওই ছাত্রীর। এতে তার বাবা-মা তাকে বকা-ঝকা করেন। অপমান সইতে না পেরে এক পর্যায়ে ওই ছাত্রী আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। মর্মান্তিক ওই ঘটনাটি ঘটেছে দুমকির শ্রীরামপুর গ্রামে।
জানা গেছে ওই ছাত্রী মঙ্গলবার সকালে গলায় ওড়ঁনা পেচিঁয়ে ঘরের আড়াঁর সাথে ঝুলে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বাড়ির লোকজন দুমকি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। এ ব্যাপারে থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য লাশ পটুযাখালী মর্গে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকালে উত্তর শ্রীরামপুর গ্রামের আবদুল লতিফ মৃধার মেয়ে নিপা তার বান্ধবী পাশের বাড়ির জালাল মৃধার মেয়ে ময়নাকে নিয়ে বয়ফ্রেন্ড মামুনের সাথে দেখা করতে পিরতলা বাজারে যান।
বয়ফ্রেন্ডকে নিয়ে বাজারে কেনাকাটা শেষে তারা পাতাবুনিয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় ঘুরতে যান। ময়না জানায়, ফেরার পথে সন্ধ্যার পর পিরতলা বাজারে এলে কতিপয় যুবক তাদেরকে পবিপ্রবির কেরামত আলী হলের সামনে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে তাদের কাছ থেকে কয়েকটি মোবাইল ফোন হাতিয়ে নেয় এবং তাদেরকে মারধর করে। অনেক রাতে বাড়ি ফিরলে ঘটনা জেনে নিপার মা-বাবা তাকে গালমন্দ ও মারধর করেন। এ ঘটনা সইতে না পেরে নিপা সকালে আত্মহত্যা করেন। নিপা উত্তর শ্রীরামপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী ছিলেন।
ঢাকা, ০৫ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: