লাইভ প্রতিবেদক : শত্রুতার জের ধরে ছাত্রদল নেতাকে প্রকাশ্যে এলোপাতাড়ি কোপায় ছাত্রলীগের কয়েক নেতাকর্মী। এতে ওই ছাত্রদল নেতার ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তার ডান পায়ের রগও কেটে দেয়া হয়। গুরুতর আহত ওই ছাত্রদল নেতাকে আর বাঁচানো যায়নি। শুক্রবার ঢাকা মেডিকেল কলেজের আইসিইউতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। নিহত ওই ছাত্রদল নেতার নাম আসাদুল্লাহ। গত শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় পৌর ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগ ও তার সহযোগীদের হামলায় গুরুতর হয়েছিলেন তিনি। নিহত আসাদুল্লাহ ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। আসাদুল্লাহর ভাই মো. হাসান মিয়া শুক্রবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা গেছে, গত শুক্রবার (২৩ ফেরুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে শত্রুতার জের ধরে পৌর ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক মো. সোহাগ মিয়া ওরফে আতুর সোহাগ ও তার সহযোগী রুবেল কুটিয়ালসহ কয়েকজন প্রকাশ্যে ধারালো ছুরি দিয়ে আসাদুল্লাহকে এলোপাতাড়ি কোপায়। এতে তার ফুসফুস, কিডনি ও হৃৎপিণ্ড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসময় তারা আসাদুল্লাহর ডান পায়ের রগও কেটে দেয়।
ঘটনার পর থেকে সোহাগ ওরফে আতুর সোহাগসহ তার সহযোগীরা পলাতক রয়েছে। ঘটনার দিন রাতেই আহত আসাদুল্লাহর বাবা মো. আলাউদ্দিন হাওলাদার পাঁচজনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। সোহাগের সহযোগী রুবেলের বাবা ওই মামলার ৩ নম্বর আসামি মো. জাহাঙ্গীর খানকে গ্রেফতার করলেও বাকীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
অাসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন পাথরঘাটা থানার ওসি মোল্লা মো. খবীর আহম্মেদ।
ঢাকা, ১০ মার্চ (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএস
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: