বরগুনা লাইভ: বরগুনা সদর উপজেলার ২৪৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেণির পরিবেশ পরিচিতি ও ৪র্থ শ্রেণির বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয় প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় ১৭ ডিসেম্বরের বার্ষিক পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় মুঠোফোনে পরীক্ষা স্থগিতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আ: মজিদ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক গ্রুপে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির বার্ষিক পরীক্ষার ইংরেজী প্রশ্নপত্র ফাঁসের বিষয়টি তুলে ধরেন স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মী মো: আবু জাফর সালেহ।
বিষয়টির সত্যতা পাওয়ায় জেলা প্রশাসনের নির্দেশনা তাৎক্ষণিকভাবে বরগুনা সদর উপজেলার সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণির মঙ্গলবার ১২ ডিসেম্বরের ইংরেজি পরীক্ষা স্থগিত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস।
এবিষয়ে বরগুনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আ. মজিদ বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় বরগুনা সদর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো: আসাদুজ্জামান এবং বরগুনার টিচার্স ট্রেনিং ইনিস্টিটিউট (পিটিআই) এর সুপারিনটেনডেন্ট মো: জাহাঙ্গীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আগামী তিন দিনের মধ্যে তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার জন্য বলা হয়েছে। আশা করছি তদন্তের মাধ্যমে দোষীরা বেড়িয়ে আসবে।
এদিকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বিভিন্ন শ্রেণীর প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বরগুনার সচেতন মহল। শিক্ষকদের কোচিং বাণিজ্য ও কিছু স্বার্থানেষী শিক্ষকদের জন্যই শিক্ষা ব্যবস্থার এমন হাল উল্লেখ করে বরগুনা জেলা সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সভাপতি সোহেলী পারভিন ছবি বলেন, শিক্ষকদের উদাসীনতা ও কোচিং বাণিজ্যের ফলে আজ প্রাথমিক পর্যায়ের প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার মতো ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। সেই সাথে এই ঘটনার সাথে জড়িত সকলকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনার দাবীও জানান তিনি।
এদিকে ১৩ ডিসেম্বর বরগুনার বেশ কয়েকটি সামাজিক সংঘটন প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন সমাবেশ করেছে।
ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: