
লাইভ প্রতিবেদক: গুচ্ছভুক্ত ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের ব্যবসায় শিক্ষা শাখার (`সি' ইউনিট) ভর্তি পরীক্ষা আজ শনিবার (২৭ মে) শুরু হয়েছে। এবারের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ১২ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
জানা গেছে, ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করেছেন ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন। সে হিসেবে আসন প্রতি লড়বে ১২ জন করে। এই ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৩৩২টি।
ভর্তি পরীক্ষায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিবেন ১৫ হাজার ৯২১ জন ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী। যা মোট ভর্তি পরীক্ষার্থীর প্রায় ৪০ শতাংশ।
শুক্রবার (২৬ মে) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার সমন্বয়কারী অধ্যাপক ড. মো. গোলাম মোস্তফা এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, বরাবরের মতোই আবেদনকারীদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শিক্ষার্থী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেয়ার জন্য কেন্দ্র হিসেবে পছন্দ করেছেন। এবার ‘সি’ ইউনিটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে আবেদন করেছেন ১৫ হাজার ৯২১ জন শিক্ষার্থী।
তিনি আরও জানান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পরীক্ষা দিবেন ১২ হাজার ৮৪৩ জন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী এবং একটি উপকেন্দ্র উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজে ৩ হাজার ৭৮ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষা দিবেন।
এদিকে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ব্যবসায় শিক্ষা শাখার ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ৩৯ হাজার ৮৬৪ জন ভর্তি-ইচ্ছুক পরীক্ষার্থী আবেদন করেছেন। ‘সি’ ইউনিটে মোট আসন রয়েছে ৩ হাজার ৩৩২টি। ভর্তি পরীক্ষায় প্রতি আসনের বিপরীতে ১২ জন শিক্ষার্থী লড়বেন।
উপাচার্য আরও জানান, ২২ বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৯টি কেন্দ্রে একযোগে দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে ১টা পর্যন্ত এক ঘণ্টা ব্যাপী এ ভর্তি পরীক্ষা চলবে। ১৯টি কেন্দ্রের ৪টিতে একটি করে উপকেন্দ্র রয়েছে। এগুলো হলো: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ও রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
তিনি আরও জানান, সকাল ৯টা থেকেই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন পরীক্ষার্থীরা। তবে নির্ধারিত রুম খোলা হবে পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে। প্রবেশপত্র ও নির্দেশিত অন্যান্য কাগজপত্রসহ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। কোন ব্যাগ, মোবাইল কিংবা ইলেকট্রনিকস ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করা যাবেনা। ১০০ নম্বরের এ ভর্তি পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৩০।
পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ইতোমধ্যেই সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে সবকিছু বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামাল বলেন, ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করতে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্রে যেসব নির্দেশনা দেয়া হয়েছে সেগুলো অবশ্যই মানতে হবে। নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী অন্যান্য বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য কেন্দ্রে থাকবে। পরীক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আসতে পারে সেজন্য ট্রাফিক বিভাগ ব্যবস্থা নিবেন। প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরাও সার্বক্ষণিক কেন্দ্রে থাকবেন। পাশাপাশি বিএনসিসি, রোভার স্কাউট ও রেঞ্জার ইউনিটের ৬৫জন সদস্য শৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালন করবে। সবার সহযোগিতায় ভালোভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে আশা করছি।
আগামী ৩ জুন বিজ্ঞান বিভাগের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। ভর্তি পরীক্ষার সকল তথ্য গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার ওয়েবসাইটে (www.gstadmission.ac.bd) পাওয়া যাবে।
গুচ্ছভুক্ত ২২টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান হলো- জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাকা), ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (কুষ্টিয়া), শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (সিলেট), খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় (খুলনা), হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (দিনাজপুর), মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (টাঙ্গাইল), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোয়াখালী), কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুমিল্লা), জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় (ময়মনসিংহ), যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যশোর), বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (রংপুর), পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পাবনা), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (গোপালগঞ্জ), বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (বরিশাল), রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রাঙ্গামাটি), রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ (সিরাজগঞ্জ), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি (গাজীপুর), শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় (নেত্রকোনা), বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (জামালপুর), পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পটুয়াখালী), কিশোরগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কিশোরগঞ্জ) এবং চাঁদপুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চাঁদপুর)।
ঢাকা, ২৭ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমএফ
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: