কুবি লাইভ: গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) অধীনে গভর্ণমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্রে মোবাইল, ঘড়ি ও ব্যাগ নিয়ে প্রবেশ করে পরীক্ষার্থীরা। প্রবেশপত্রে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তারা কোন বাধা না মেনেই ঢুকে পড়ে। তবে অভিভাবকদের অভিযোগ রয়েছে অব্যবস্থাপনার কারণে পরীক্ষার্থীরা এটি করতে বাধ্য হয়।
গভর্নমেন্ট ল্যাবরেটরি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় ১ হাজার পরীক্ষার্থীর আসন বিন্যাস হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পরীক্ষা শুরু হওয়ার ১ ঘন্টা আগে বেলা ১১টায় পরীক্ষার্থীদের চেক করে ঢুকানোর জন্য কেন্দ্রে ফটক খুলে দেওয়া হয়। একটি ফটক দিয়ে সকল পরীক্ষার্থী প্রবেশের কারনে জটলা সৃষ্টি হয়। এসময় অনেক পরীক্ষার্থী মোবাইল ও ঘড়ি নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করলে বিএনসিসি ও রোবার স্কাউটের সদস্যরা তাদের গেইটের বাহিরে তা রেখে আসতে বলে। তখন পরীক্ষার্থীরা বিএনসিসি ও স্কাউটের বুথে মোবাইল রাখতে অস্বীকৃতি জানায়। এবং পরীক্ষা সময় ঘনিয়ে আসছে অভিযোগ করে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা হট্টগোল শুরু করে জোর করে কেন্দ্রে প্রবেশ করার চেষ্টা চালায়। এসময় কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের একটি বাস কেন্দ্রে ঢুকার জন্য গেইট খুলে দেওয়া হলে তখন পরীক্ষার্থীরা জোর করে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা স্কাউট, বিএনসিসি ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনির সদস্যদের বাধা উপেক্ষা করে, মোবাইল, ঘড়ি, ব্যাগ নিয়ে দৌড়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে।
ভর্তি পরীক্ষার প্রবেশ পত্রের নির্দেশাবলির ৭ নাম্বারে উল্লেখ আছে, "ক্যালকুলেটারসহ অন্য যে কোন ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ"। কিন্তু পরীক্ষার্থীরা এমনটা কেনো করলো এ বিষয়ে অভিবাবকদের প্রশ্ন করা হলে তারা অভিযোগ করে ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, "দীর্ঘক্ষণ বাহিরে রোদের মধ্যে দাঁড় করি রাখা হয়েছে পরীক্ষার্থীদের। এছাড়া গেটে চেকিং করার জন্য দীর্ঘসময় নেওয়া হচ্ছ। পরীক্ষা শুরু হয়ে যাওয়ার একটা উৎকন্ঠা কাজ করে তাদের মাঝে। তাই তারা এমনটা করতে বাধ্য হয়েছে।
আরেক পরীক্ষার্থী জেবুন্নেছা বলেন, "আমাদের মেয়েদের চেকিংএর জন্য মাত্র দুজন রয়েছে। এতে করে অনেক সময় লাগছে। আমাদের মধ্যে ভীতি কাজ করছিলো পরিক্ষা যদি শুরু হয়ে যায়। তাই অনেকে জের করে ঢুকতে চেয়েছে"।
এ বিষয়টি অবগত নয় বলে শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, আমার কাছে কোন অভিযোগ জানানো হয়নি এ বিষয়ে।
তবে ঐ কেন্দ্রের প্রধান অধ্যাপক শামসুজ্জামান মিল্কি বলেন, "একটি মাত্র গেট দিয়ে এত পরীক্ষার্থী ঢুকাই এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। তবে আমরা পরীক্ষার আগেই কক্ষের বাহির স্কাউটের সদস্যদের দিয়ে চেক করে কক্ষে ঢুকিয়েছি এবং যথাসময়ে পরীক্ষা নিয়েছি।"
ঢাকা, ২০ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//সিএম//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: