Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বৃহঃস্পতিবার, ২৫শে এপ্রিল ২০২৪, ১২ই বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

গুচ্ছে পূর্ণ সিলেবাসেই প্রশ্ন প্রণয়ন, শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ

প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২২, ০৭:৫৪

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা

জবি লাইভ: দ্বিতীয়বারের মত দেশের ২২টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শনিবার বেলা ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত বিজ্ঞান বিভাগ 'এ' ইউনিটের পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হয় গুচ্ছ পরীক্ষা। ১১ টায় কেন্দ্রে প্রবেশের নিয়ম থাকলেও যানজটের কথা চিন্তা করে পরীক্ষার্থীদের আগেই কেন্দ্রে প্রবেশ করানো হয়।

এদিকে গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নের সিলেবাস নিয়ে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, শর্ট সিলেবাস অনুাসারে পরীক্ষার প্রশ্ন করার কথা থাকলেও তা মানা হয়নি। বরং প্রশ্ন এসেছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকে।

নরসিংদী থেকে আসা অনন্যা ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'যেভাবে প্রশ্ন আসার কথা ছিল সেভাবে আসেনি। বিশেষ করে গণিত ও জীববিজ্ঞাস বিষয়ে অর্ধেকের মতো বাইরে থেকে প্রশ্ন এসেছে। আমরা তো এক বছরের শর্ট সিলেবাসে পড়াশোনা করেছি। অথচ প্রশ্ন এসেছে পূর্ণাঙ্গ সিলেবাস থেকে। সেজন্য যেরকম আশা করেছিলাম পরীক্ষা তেমন ভালো হয়নি।'

মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা রায়হানে জান্নাত ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, জীববিজ্ঞান ও গণিত কঠিন হয়েছে। কেননা ১৫-১৮ টি প্রশ্ন করা হয়েছে সিলেবাসের বাইরে থেকে।

রংপুর কালেক্টরেট কলেজের শিক্ষার্থী সাকিব ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, গণিত বিষয়ের প্রায় সব প্রশ্নই এসেছে সিলেবাসের বাইরে থেকে। এছাড়া রসায়ন, জীববিজ্ঞান, পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্ন সিলেবাসের থেকে এসেছে।

অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় দুই একটা শর্ট সিলেবাসের বাইরে থেকে আসলেও গুচ্ছ পরীক্ষায় অনেক বেশি বাইরের প্রশ্ন আসছে। ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা একসাথে আর ফুল সিলেবাসে প্রশ্ন হবে তা আগেই জানানো উচিত ছিলো বলে জানিয়েছেন আরো একাধিক শিক্ষার্থী।

এদিকে প্রশ্নের প্রিন্ট ও ছাপা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জগদীশ চন্দ্র সরকার। তিনি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পোস্টে কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘আজ ২২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা হলো। প্রশ্নপত্রের গেটআপ দেখে আমি পুরোপুরি হতাশ। আমার চোখের আন্দাজ ৮-৯ ফোন্ট সাইজ, ১ স্পেস, ০.২ মার্জিন, উত্তরের অপশনগুলো (এ থেকে ডি) পাশাপাশি দেওয়া। প্রশ্নপত্রের কোথাও তিল পরিমান ফাঁকা জায়গা নেই। আবার পদার্থ, গনিত, রসায়ন রাফ করার জন্য কোন আলাদা কাগজও দেয়া হয়নি। আমার আশঙ্কা অনেক পরীক্ষার্থী বিভিন্ন রকম ভুল করেছে শুধুমাত্র এরকম একটা ঘিঞ্জি প্রশ্নপত্রের কারণে। একটা স্ট্যান্ডার্ড প্রশ্নপত্রের গেটআপটাও আজ আমরা আপটুদা মার্ক করতে পারি না?! ছি!’

তিনি আরো লিখেন, যেখানে ভর্তি পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষার সকল খরচ বহন করে। সেখানে কার স্বার্থে এই কৃচ্ছতাসাধন? নিশ্চয়ই আমার/আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের। কাকে কি বলবো, নিজেকেই ধিক্ জানাই!’

প্রশ্নপত্র নিয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'প্রশ্ন নিয়ে বলার কিছু নেই। শিক্ষা বোর্ড থেকে যে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস করে দেওয়া হয়েছে, তার মধ্য থেকেই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন করা হয়েছে। কোনো পরীক্ষার্থীর অভিযোগ থাকলে তা লিখিত আকারে ভর্তি কমিটিকে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।'

উল্লেখ্য, ঢাকায় গুচ্ছের কেন্দ্র হিসেবে ছিলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, নটরডেম কলেজ, ভিকারুননিসা নূন স্কুল এন্ড কলেজ,গভর্নমেন্ট কলেজ অব অ্যাপ্লাইড হিউম্যান সাইন্স, ইডেন মহিলা কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

ঢাকা, ৩০ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//আরআই//এমজেড


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ