রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথমবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৪ জুলাই। চলবে ২৭ জুলাই পর্যন্ত। আগামীকাল ২৫ মে থেকে শুরু হচ্ছে ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদন যা চলবে ৯জুন পর্যন্ত।
ভর্তি কমিটির তথ্যমতে, প্রাথমিক আবেদন ফি ৫৫ টাকা এবং চূড়ান্ত আবেদন ফি ১১শ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত প্রার্থীদের চূড়ান্ত আবেদন করতে হবে ১৫ জুন থেকে ২৮ জুনের মধ্যে। চূড়ান্ত আবেদন শেষে ২৫ জুলাই ‘সি’ ইউনিট, ২৬ ‘এ’ ইউনিট এবং ২৭ জুলাই ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তা ছাড়া শুধু এ বছরের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ থাকছে।
প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, ২০২১-২২ সেশনের ভর্তি পরীক্ষায় ৮০টি বহুনির্বাচনী প্রশ্নের মান হবে ১০০ নম্বর। ১ ঘন্টা সময়সীমায় অনুষ্ঠিত প্রতিটি বহুনির্বাচনি প্রশ্নের মান হবে ১.২৫।
ভর্তি পরীক্ষা কমিটি সূত্রে জানা গেছে,জানা গেছে, এবারের ভর্তি পরীক্ষা ‘এ’ (কলা, আইন, সামাজিক বিজ্ঞান ও চারুকলা অনুষদ এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট), ‘বি’ (ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ও ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট) এবং ‘সি’ (কৃষি ও বিজ্ঞান অনুষদ) তিনটি ইউনিটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন ভর্তি পরীক্ষা ৪ শিফটে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি ইউনিটে অংশ নিতে পারবে ৭২ হাজার শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা নির্দিষ্ট কাঠামোর বিষয়ে ভিসি প্রফেসর ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, 'আসলে এ বিষয়টা আমি লক্ষ্য করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় নির্দিষ্ট কাঠামো দিয়ে চলে না। আমার কাছে মনে হয় বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁধা যায়না। বিশ্ববিদ্যালয় কোন স্ট্যাটিক না। বিশ্ববিদ্যালয় কোন পুকুর না যেখানে পানি আবদ্ধ থাকে, বিশ্ববিদ্যালয় প্রবাহমান। সময়ের সাথে সাথে জ্ঞানের যে বির্বতন হবে, পরিবর্তন হবে। সে পরিবর্তনের পাশাপাশি আমরা সমসাময়িক জ্ঞান বা সমসাময়িক ঘটনার সাথে মিল না রাখতে পারি তাহলে কিন্তু হয়না। 'কাঠামো' বলতে আপনি বলতে পারেন, হ্যা, লেখাপড়ার মানউন্নয়নে যেসকল উদ্যোগ সেগুলোকে কাঠামোর মধ্যে আনতে পারি। কিন্তু সিদ্ধান্তগুলো সময়ে সময়ে ক্রমবির্বতন হয় সে পরিবর্তনের সাথেই তাল মিলিয়ে চলাটাই আমি মনে করি বিশ্ববিদ্যালয়ের লক্ষ্য হওয়া উচিত।'
আগামীতে ভর্তি পরীক্ষা বিভাগীয় শহর পর্যায়ে নেয়ার কোন পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে ভিসি বলেন, 'আমরা এখন পর্যন্ত এ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি,তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেইনি। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের যে পরীক্ষা পদ্ধতি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে ভালো। কারণ গোটা পরীক্ষাটা শিক্ষক দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই হয়। এ জন্য অন্য পদ্ধতিতে যাওয়া নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দে আছি এবং এ বিষয়টা নিয়ে চিন্তাভাবনা করছি। তবে আমাদের লক্ষ্য থাকবে ছাত্রদের এবং তাদের অভিভাবকদের কষ্ট লাগব করা যায় সে বিষয়ে আমরা চেষ্টা করব। আরেকটা বিষয় আপনাদের বলে রাখি গত দু বছরে আমরা ভর্তির ফরমের ফি বৃদ্ধি করিনি। অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তা বৃদ্ধি করে নিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে আমরা আগামীতে চিন্তা ভাবনা করব এখন যা নিচ্ছি আগামীতে এর থেকে কম নিতে পারি। তবে একটা জিনিস মনে রাখতে হবে ভর্তি পরীক্ষাটা যত স্বচ্ছ, টেকসই করা যায় সেটা নিয়ে কাজ করছি। এবং সম্পূর্ণ পরীক্ষাটা শিক্ষকদের দ্বারা নিয়ন্ত্রন করি যেটা বাহিরে গেলে সমস্যা হতে পারে। তবে আগামীতে আস্থার জায়গা পেলে আমরা শহরগুলোতে পরীক্ষা নেয়ার চিন্তা ভাবনা করব।'
ঢাকা, ২৪ মে (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: