মেহেদি জামান লিজন, জাককানইবি: জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাককানইবি) ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে রমরমা ব্যবসা চালাচ্ছে হোটেল মালিকেরা। ভর্তি পরীক্ষার সময় পার্শ্বস্থ হোটেলে খাবারের দাম প্রায় দ্বিগুন রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে আর এতে বিপাকে পড়েছেন ভর্তিচ্ছু ও অভিভাবকরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, ক্যাম্পাসের পাশে ১ নাম্বার গেইটে সব খাবারের হোটেল (সারেং, ভোজন বিলাস, সালমান হোটেল, বাঙ্গালী ভোজ) গুলাতে দাম দ্বিগুন করে রাখছে। আগে মাছের দাম ৩০ টাকা থাকলেও ভর্তি পরীক্ষার সময় বাড়িয়ে ৫০ টাকা।
মুরগী ব্রয়লার আগের দাম ছিল ৩০, কিন্তু বর্তমানে বাড়িয়ে ৬০ টাকা রাখছে। খাসী ও গরুর মাংসের দাম ৪০ ও ৬০ টাকা থাকলেও এখন ১০০-১২০ টাকা নিচ্ছে।
ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা এক শিক্ষার্থী জানান, “খাবারের দাম বেশী হলেও বাধ্য হয়ে খেতে হচ্ছে”।
একজন অভিভাবক বলেন, “এভাবে খাবারের দাম বাড়িয়ে আমাদের জিম্মি করা হচ্ছে। এভাবে জাককানইবিতে ভর্তিচ্ছু সকলশিক্ষার্থীদের কাছে থেকে অতিরিক্ত দাম আদায় করা হচ্ছে।
এতে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরাও নানা ধরনের ভোগান্তির শিকার হচ্ছে ।
খাবারের মান বাড়তি কেন এই প্রশ্ন এক জন বিক্রেতাকে করলে তিনি জানান, ভর্তি পরীক্ষার সময়ে ভালো লাভ হয় তাই একটু দাম বাড়তি। শুধু আমি না সবাই বেশি দাম রাখে।
এদিকে কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, রাকিবুল হাসান রাকিব ভর্তি পরীক্ষা উপলক্ষে খাদ্য দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির কথা শুনে খাবারের দোকানগুলোতে খাবারের দাম সহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি না করার অনুরোধ জানান।
তিনি আরও বলেন, ভর্তি পরিক্ষা উপলক্ষে একটা চক্র দ্রব্য ম‚ল্যের দাম বৃদ্ধির অপচেষ্টা করে, আমরা অবশ্যই তা প্রতিহত করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক উজ্জ্বল কুমার প্রধান ক্যাম্পাসলাইভকে বলেন, দাম বৃদ্ধি এটা খুবই বাজে একটা কাজ। আমি প্রশাসনকে নিয়ে দ্রব্য মূল্যের দাম শিক্ষার্থীদের অনুকুলে আনার চেষ্টা করবো।
ঢাকা, ১১ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//বিএসসি
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: