লাইভ প্রতিবেদক: পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতির উদ্যোগ আবার থেমে গেছে। জানা গেছে, ১৯ জুলাই এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের সারাদেশ ঘুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে। এবারো দুর্ভোগ পোহাতে হবে ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের।
গুচ্ছ বা সমন্বিত পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার কেন্দ্রীয়ভাবে ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নানকে আহ্বায়ক করে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় চলতি বছরের শুরুতেই। মন্বিত পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়ার জন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় সম্মত হয়নি বলে একটি বিশেষ সূত্রে জানা যায়।
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আব্দুল মান্নান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, ভর্তি পরীক্ষা নেবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। তাই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। তবে এবার থেকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিশ্চয়তার শঙ্কার কথাও বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরো বলেন, সমন্বিত বা গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি নিয়ে দীর্ঘদিন আলোচনা হলেও এর কোনো সমাধান নেই। বড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অনাগ্রহেই আটকে আছে এ পদ্ধতি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিরা ক্যাম্পাসলাইভকে জানিয়েছেন, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিভিন্ন বিষয় রয়েছে, সেগুলোকে সমন্বয় করা, প্রশ্নপত্র প্রণয়নে জটিলতা ও গোপনীয়তা, মাইগ্রেশন পদ্ধতি কিভাবে থাকবে সেগুলো বিবেচনায় আনার জন্য প্রথমত একটি স্বচ্ছ নীতিমালা প্রয়োজন। সেটা এখনও হয়নি। তাই এই শিক্ষাবর্ষ থেকে ভর্তি করা সম্ভব নয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় শাখার পরিচালক হামিদুর রহমান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, কমিটি একাধিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানা গেছে, ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেয়া সম্ভব নয়। সিলেট বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, পুরনো নিয়মেই ভর্তি পরীক্ষা হবে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বর্তমানে ৪০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এসব শিক্ষার্থীর প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদাভাবে ফরম কিনতে হবে। আর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ঘুরে ঘুরে পরীক্ষায় অংশ নিতে হবে।
২০১৩ সালের ৭ জুলাই শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের সভায় সমন্বিত বা গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষার বিষয়ে নীতিগতভাবে একমত পোষণ করেছিলেন। কিন্তু পরে তা বাস্তবায়ন করেননি।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এবং যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় অভিন্ন পরীক্ষা নেয়ার ঘোষণাও দেয়। তবে পরে শাবিপ্রবিতে আন্দোলনের কারণে এ উদ্যোগও ভণ্ডুল হয়ে যায়।
ঢাকা, ১১ জুলাই (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//এমআই
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: