Azhar Mahmud Azhar Mahmud
teletalk.com.bd
thecitybank.com
livecampus24@gmail.com ঢাকা | বুধবার, ৮ই মে ২০২৪, ২৫শে বৈশাখ ১৪৩১
teletalk.com.bd
thecitybank.com

যে তরুণ ব্রিটেনের সেরা মানবাধিকার আইনজীবী হলেন

প্রকাশিত: ২৭ নভেম্বার ২০১৬, ০১:৩০



প্রবাস লাইভ: ব্রিটেনের চাটার্ড ইনস্টিটিউট অব লিগ্যাল এক্সিকিউটিভ (সাইলেক্স) সেরা মানবাধিকার আইনজীবীর স্বীকৃতি দিয়েছে বাংলাদে‍শি বংশোদ্ভূত এক তরুণকে। তার নাম ব্যারিস্টার এম এ মুয়ীদ খান।

তাকে নিয়ে বাংলা ভাষা-ভাষিরা গর্ব করছেন বলে জানাগেছে। সম্প্রতি মিল্টনকিন্সের জুরিস ইনে তার হাতে এ স্বীকৃতি অ্যাওয়ার্ড-২০১৬ তুলে দেন সাইলেক্সের প্রেসিডেন্ট মার্টিন কাললানাট।

তিনিই প্রথম ব্রিটিশ বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত আইনজীবী যিনি এই বিরল সম্মানসূচক স্বীকৃতি লাভ করেন। মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন বিষয়ে অসামান্য অবদান রাখার কারণে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের বিশ হাজার আইনজীবী এর মধ্যে ব্যারিষ্টার মুয়ীদ খানকে নির্বাচিত করে এই সম্মাননা প্রদান করা হয়।

এ ওয়ার্ডের অংশ হিসেবে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও পাঁচশ পাউন্ডের সম্মানসূচক চেক প্রদান করা হয়। পুরষ্কারে এই অর্থ ব্যারিষ্টার মুয়ীদ খান প্রিন্সেস চ্যারিটিকে প্রদান করে দিয়েছেন। এই বিশেষ এওয়ার্ড অনুষ্ঠানে বার কাউন্সিল এর প্রেসিডেন্ট, ল’ সোসাইটির প্রেসিডেন্ট, লর্ড চীফ জাস্টিস সহ প্রায় পাঁচ শতাধিক আইনজীবী এবং বিচারকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, মানবাধিকার বিষয়ক বিভিন্ন ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখার কারণে ২০১১ সালে ল’ সোসাইটি, বার কাউন্সিল ও সাইলেক্স যৌথভাবে ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস্ এর শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবীর স্বীকৃতি হিসেবে ’এডভোকেসি ইন দ্যা ফেস অব এডর্ভাসিটি - ২০১১’ এওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

এছাড়াও ২০১১ ও ২০১২ সালে ল’ সোসাইটি ব্যারিস্টার মুয়ীদ খানকে সর্বোচ্চ সাতজন শীর্ষস্থানীয় লিগ্যাল এক্সিকিউটিভ ল’ইয়ার এর একজন হিসেবে ঘোষণা করেন। তাকে ল’ সোসাইটি এর ‘এক্সিলেন্স এওয়ার্ড এর জন্য মনোনীত করে।

এছাড়াও, ২০১২ সালে ইন্টারন্যাশনাল বার এসোসিয়েশন (আইবিএ)- ব্যারিষ্টার মুয়ীদ খানকে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস থেকে একমাত্র মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে তাদের ইন্টারন্যাশনাল এওয়ার্ড ‘আইবিএ প্রোন-বোনা এওয়ার্ড-২০১২’ এর জন্য মনোনীত করে।

পাশাপাশি, ২০১২ সালে প্রো -বোনো বিষয়ক হিউম্যান রাইটস সংক্রান্ত বিভিন্ন মামলায় আসামন্য অবদান রাখার কারণে সাইলেক্স এর তৎকালীন প্রেসিডেন্ট আবারো ব্যারিস্টর মুয়ীদ খানকে শ্রেষ্ঠ মানবাধিকার বিষয়ক আইনজীবী হিসেবে ঘোষণা করেন এবং ‘সাইলেক্স প্রো বোনো মডেল-২০১১১’ এওয়ার্ড তুলে দেন।

এই এ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তির পর ব্যারিষ্টার এম এ মুয়ীদ খান বলেন, এই সম্মান শুধু আমার একার নয়, এই সম্মান সমস্ত বৃটিশ বাংলাদেশী কমিউনিটির। কর্মক্ষেত্রে সততার সাথে অসামান্য অবদান রাখলে যে কোন কমিউনিটির ভেতর থেকে সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়া সম্ভব।

এই এওয়ার্ড তার মরহুম পিতা প্রফেসর আনম আব্দুল মান্নান খাঁন এবং ডিস্ট্রিক্ট জাজ মার্ক সিমপসন কিউসিকে উৎসর্গ করেছেন।

এ ব্যাপারে ব্যারিস্টার মুয়ীদ খান ক্যাম্পাসলাইভকে জানান, পুরস্কারের অর্থ তিনি প্রিন্সেস চ্যারিটিকে দিয়েছেন। ভবিষ্যতে তিনি এ ধরণের আরও অর্থ পেলে দেশের চ্যারিটি সংগঠনকে দান করবেন।

বে বিষয়ে তার অনুভূতি জানাতে চাইলে তিনি বলেন এটা আমার নয় গোটা বাংলাদেশের গর্ব। আমি দেশকে ও দেশের মানুষকে ভালবাসি। মানুষের জন্যে কিছু করতে চাই। মানুষকে আইনী সহায়তা দিতে চাই।

উল্লেখ্য, ব্যারিস্টার এম এ মুয়ীদ খান এর পিতা প্রফেসর আ.ন.ম আব্দুল মান্নান খাঁন। যিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবী বিভাগের প্রফেসর ও বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

 

ঢাকা, ২৬ নভেম্বর (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)// এএম


আপনার মূল্যবান মতামত দিন:

সম্পর্কিত খবর


আজকের সর্বশেষ