এবার রাবি ভিসিসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ!
Published: 2021-04-05 15:19:01 BdST, Updated: 2021-04-15 21:10:47 BdST

রাবি লাইভ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড.সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের (এমএসএস) পরীক্ষার ফল বিপর্যয়, সেচ্ছাচারিতা ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ ও ফলাপলের পুনর্মূল্যায়নের জন্য উপাচার্য প্রফেসর এম আবদুস সোবহানসহ পাঁচজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
গতকাল রোববার (৪এপ্রিল) শিক্ষার্থীদের পক্ষে রাজশাহী জজকোর্টের আইনজীবী নূর-এ-কামরুজ্জামান ওই আইনি নোটিশ পাঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীরা ফল বিপর্যয়ের অভিযোগে এই নোটিশ পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী।
আইনি নোটিশ পাওয়া অন্যরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.আনন্দ কুমার সাহা ও প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে নোটিশের জবাব দিতে সংশ্লিষ্টদের বলা হয়েছে।
নোটিশে উল্লেখ করে বলা হয়, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হবার পর সকল বর্ষে সকলেরই ভালো ফলাফল অর্জন করে। এর মধ্যে ১জন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে প্রথম স্থান অধিকার করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলো ও আরেকজন ইউজিসির বৃত্তি লাভ করে। তাদের এই অর্জনে পূর্ববতী সভাপতি ও শিক্ষকগণ অনুপ্রেরণা দিয়েছেন।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রদত্ত ১৯৭৩ এ্যাক্ট অনুযায়ী পরিচালিত হয়। কিন্তু রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের এ্যাক্ট এর প্রথম স্ট্যাটিউট এর ৩(১) দ্বারা মোতাবেক বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি নিয়োগ দান করেন। তেমনি বর্তমান উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে তার ঘনিষ্ঠ ইতিহাস বিভাগের শিক্ষক ড. সৈয়দ আবদুল্লাহ আল মামুনকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাপতি নিয়োগ দিয়েছেন।
বর্তমান সভাপতি দায়িত্ব গ্রহণের পর বিভাগের সকল শিক্ষার্থীর জীবনে দুঃসময় নেমে আসে। তার স্বেচ্ছাচারিতা, ক্ষমতার অপব্যবহার, শিক্ষার্থীদের ভয় ভীতি প্রদর্শন, পক্ষপাতিত্ব, ক্লাস ও পরীক্ষা গ্রহণে দায়িত্বে অবহেলা, অনৈতিক কার্যকলাপে ফলে ফলাফল খারাপ হয়।
ওই শিক্ষার্থীদের ফল বিপর্যয়ের জন্য বিভাগের ও পরীক্ষা কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুনের নৈতিক স্খলনই দায়ী।
এর আগে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, দুজন উপ-উপাচার্য, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (বর্তমানে তিনি রেজিস্ট্রার), ছাত্র উপদেষ্টা, কলা অনুষদের ডিন, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনের কাছে আবেদন করলেও তারা কোনো পদক্ষেপ নেননি।
যার ফলশ্রুতিতে, গত ৩০ মার্চ (বৃহষ্পতিবার) এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যবস্থা না নেয়ায় বাধ্য হয়ে শিক্ষামন্ত্রী ডা.দিপু মনি ও, ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. কাজী শহিদুল্লাহ বরারব চিঠি দিয়েছেন উক্ত বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
তবে এই আইনি নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে সব উত্তরপত্র পুনর্মূল্যায়ন করে পুনরায় ফলাফল প্রকাশ এবং দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। নয়তো মোয়াক্কেলগণ উপযুক্ত আদালতে মামলা দায়েরে বাধ্য থাকিবে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক আবদুস সালাম জানান, তিনি এখনো সেই আইনি নোটিশ পাইনি। পাওয়ার পর এ বিষয়ে মন্তব্য করবেন।
এ বিষয়ে জানতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড.আনন্দ জুমার সাহাকেও ফোন দিয়ে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা, ০৫ এপ্রিল (ক্যাম্পাসলাইভ২৪.কম)//ওএফ//এমজেড